রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
সাকিবুজ্জামান সবুর:
ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার কচুয়া ও বরগুনার বেতাগীর অংশে যোগাযোগে স্থাপনের জন্য ফেরীটি খুব শীগ্রই উদ্বোধন হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই বেতাগী ও কচুয়ায় দুই পারের গ্যাংওয়ের কাজ শেষ পর্যায় রয়েছে। ফেরিও পৌছে গেছে ঘাটে। গ্যাংওয়ের কাজ সম্পন্ন হলেই যেকোন সময় ফেরীটি উদ্বোধন করা হবে। এ ফেরি পারাপার হয়ে দক্ষিন অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ পটুয়াখালী, কুয়াকাটা, বরগুনা, বেতাগী, কাঠালিয়া, রাজাপুর, ঝালকাঠি, বরিশাল, অন্যদিকে বেকুটিয়া, খুলনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট, সাতক্ষিরা, গোপালঞ্জসহ বিভিন্ন রুটে খুব সহজে যাতায়াত করতে পারবেন। এতে কমে যাবে অনেক দুরত্ব। তাই ফেরীটি উদ্বোধনের অপেক্ষা করছেন এ অঞ্চলের নানা শ্রেণি পেশার মানুষ।
জানাযায়, ঝালকাঠি সড়ক বিভাগের অধীনে কাঠালিয়ার বীনাপনি, কচুয়া, বেতাগী, মির্জাগঞ্জ, পটুয়াখালী জেলার মহাসড়কের ৬ কিলোমিটারে বিষখালী নদীর উপর নতুন এই ফেরীঘাট স্থাপন করা হয়েছে। গত ৩১ মে ফেরীতে চলাচলকারী যানবাহন হতে টোল আদায়ের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ট্রেইলার-২৫০, হেভী ট্রাক-২০০, মিডিয়াম ট্রাক-১০০, বড় বাস-৯০, মিনি ট্রাক-৭৫, কৃষিকাজে ব্যবহৃত যান-৬০, মিনিবাস/কোষ্টার-৫০, মাইক্রোবাস-৪০, ফোর হুইল চালিত যানবাহন-৪০, সিডান কার-২৫, ৩/৪ চাকার মোটোরাইজড যান-১০, মোটর সাইকেল/সাইকেল/রিক্সা/ভ্যান/ঠেলা গাড়ী-৫ টাকা হারে টোল নিধারণ করে প্রজ্ঞাপনও জারি করেছেন।
বেতাগী স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মো. মহসীন খান জানান, আমার বাড়ী কাঠালিয়ায় হলেও আমি বেতাগী স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক হিসেবে চাকরী করি। তাই প্রতিদিনি বিষখালী নদী পার হয়ে বেতাগী যেতে হয়। এখন ফেরি হওয়ায় যাতায়াত ব্যবস্থা আরো সহজ হবে বলে আমি আশা করছি।
পশ্চিম ছিটকী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. শহীদুল ইসলাম জানান, আমি কাঠালিয়ার পশ্চিম ছিটকী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ, আমাকে প্রতিদিন কচুয়া খেয়া পার হয়ে কলেজে যেতে হয়। অনেক সময় খেয়ার জন্য সঠিক সময় কলেজে যেতে পারি না । এখন এখানে ফেরি হওয়ায় কলেজের নির্ধারিত সময় কলেজে যেতে পারবো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য এইচএম নাসির উদ্দিন আকাশ বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী উপজেলা বেতাগীর সাথে কচুয়া থেকে খেয়া ছিল যোগাযোগের একমাত্র উপায়। ফেরি চলাচল শুরু হলে খুব সহজেই কুয়াকাটা পর্যটন কেন্দ্র, আমতলী ও বরগুনা জেলাসহ বিভিন্ন রুটে গাড়ী নিয়ে যাতায়াত করতে পারবে এ অঞ্চলের মানুষ।
শৌলজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মাহমুদ হোসেন রিপন কাঠালিয়া বার্তাকে বলেন, শৌলজালিয়ার কচুয়া ফেরী ঘাটের গ্যাংওয়ের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। তবে বেতাগী অংশের গ্যাংওয়ের কাজ বাকি রয়েছে। বেতাগী অংশে ফেরীর গ্যাংওয়ের কাজ শেষ হলেই ফেরী চলাচল শুরু করবে।
ঝালকাঠি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ নাবিল হোসেন কাঠালিয়া বার্তাকে বলেন, কচুয়া-বেতাগীতে ফেরী চলাচলের জন্য ইতিমধ্যে ফেরী ও ফেরী চলাচলের গ্যাংওয়ে ঘাটে চলে এসেছে এবং কচুয়া অংশে ফেরীর গ্যাংওয়ের কাজ শেষ হয়েছে। তবে বেতাগী অংশের গ্যাংওয়ের কাজ বাকি রয়েছে। এছাড়া মন্ত্রণালয় থেকে ফেরী ব্যবহারকারী যানবাহন হতে টোল আদায়ের হারও নির্ধারণ করে দিয়েছে। আশা করি ঈদের আগেই ফেরীটি উদ্বোধন করা হবে।